F New Chapter - BLACKWHEEL BIKERS CLUB

New Chapter

 

নতুন অধ্যায়ের সূচনায় বাগুইআটি দেশবন্ধুনগরের অধিবাসী বৃন্দের যুবকরা


হয়ত নতুনত্বের শুরু এভাবেই হয়। চরম বিপদের দিনে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল মানুষদের হাতে সমাজের অর্থবান ব্যক্তি বা সংগঠনগুলি নানান খাদ্যসামগ্রী বা অন্যান্য নানান নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষ তুলে দেয়। কিন্তু সেই দান কতটা আন্তরিক তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে সোশাল মিডিয়ার নেটিজেনদের একাংশ। দীর্ঘ তর্কাতর্কির মধ্যে বাগুইআটি দেশবন্ধুনগর অধিবাসী বৃন্দের রঞ্জন ব্যানার্জী, অসীম হালদার, বিজয় সাহা, কার্তিক মৈত্র, সঞ্জয় দত্ত, শান্তনু দত্ত, মানিক সাহা, বাপ্পা সাহা সহ আরো অনেকেই অর্থনৈতিকভাবে খুবই দুর্বল প্রায় ৫০০ পরিবারের হাতে নানান খাদ্যসামগ্রী তুলে দিয়েছেন। কিন্তু তারা দান দ সময় সাহায্যপ্রার্থী কোন মানুষের ছবি তারা তোলেন নি। তুললেও এমনভাবে তোলা হয়েছে যাতে কোনভাবেই তাদের পরিচয় সমাজের সামনে না আসে। এ বিষয়ে উদ্যোক্তাদের মধ্য হতে রঞ্জন ব্যানার্জী বলেন - "যে মানুষটা হাত পেতে দান নিচ্ছেন, তিনি তা বাধ্য হয়ে নিচ্ছেন। তার সাহায্যপ্রার্থী হাতদুটি দিয়ে সে যখন সাহায্য নিচ্ছে, সেই ছবি যখন সোশাল মিডিয়ায় বা রাস্তায় পোষ্টারে থাকছে, তখন সেই মানুষটার সঙ্গে তার পরিবারকেও লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে পরতে হয়। এটা আমাদের ক্ষেত্রে হলেও একই হত"।যদিও নেটিজেনদের একাংশের বক্তব্য দান করার সময় ছবি না তুলে মিডিয়ায় না পোষ্টারে না দিলে পরবর্তীকালে সামাজিক সাহায্য পাওয়া যায় না। অনেক মানুষ দান করেন শুধুমাত্র নিজের প্রচারের আশায়। হয়ত এটা একদিকে ভুল কিন্তু অন্যদিকে একটি ছবির জন্যে ১০ থেকে ৫০ বা তারও বেশী মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁচ্ছে দিতে পারা যাচ্ছে।"এবং ইনকুইজিশন" বইয়ের লেখক অভীক সরকার বলেন "দানের ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়ে প্রচার করাটা অনেকটা মামার দেওয়া গরুর দুধ দেওয়া দেখে অন্য গরুরা দুধ দেবে টাইপের গল্প। এটা কোন যুক্তি হতে পারে না" যদিও ব্ল্যাকহুইল বাইকার্স ক্লাবের পক্ষে জন্টি বন্ধ্যোপাধ্যায় বলেন "এরকম ছবি তুলে বা ভিডিও না দিলে সাহায্যকারীর সাথে সামাজিকভাবে আর্থিক সাহায্যের সত্যিই যোগাযোগ আছে কিনা সেটাও প্রশ্নের! আর এই প্রচার করলেও কিছু মানুষ তো সাহায্য পাচ্ছে এটাই অনেক, কিন্তু এই সাহায্যের সময়ে সরকারের নির্দেশিকা থাকা উচিত"। "দুষ্টু দাদু" কমিকসের স্রষ্টা সুমিত সেনগুপ্ত বলেন - "এভাবে দান অনেকটা সাধারণ মানুষদের থেকে প্রায় ছিনতাই করে দান। অন্যদিকে বড় সমস্যা হল এমন দানে অনেক সময় একই পরিবারের ভিন্ন ভিন্ন লোক বিভিন্নভাবে দাঁড়ায়। ফলে প্রকৃত সাহায্যপ্রার্থীরা ঠিকমতো সাহায্য পায় না। আমার মনে হয় নিঃশব্দে এমন সাহায্য দেওয়া উচিত। তাতে নিজেকে মহৎ করে দেখানোর প্রবণতা কমবে"। তাই বলাই যেতে পারে করোনা ভাইরাসের লড়াই এর মধ্য দিয়ে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল বাগুইআটি দেশবন্ধুনগরের অধিবাসী বৃন্দের যুবকরা।


CONVERSATION

0 $type={blogger}:

Post a Comment