F @Jonty - BLACKWHEEL BIKERS CLUB

@Jonty

 

আমরা কি সত্যি ভারতীয় ?

ভারতবর্ষ বিশ্বের সপ্তম বড় ও বৃহত্তর গণতান্ত্রিক দেশ যার মধ্যে ২৮টি রাজ্য ও ৮টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলকে নিজের সন্তানের মতো আগলে এগিয়ে চলেছে আমাদের মা অর্থাৎ ভারতবর্ষ , এক কথায় ভারতবর্ষ বিশ্বকে দেখিয়েছে বিচিত্রের মধ্যেও ঐক্যতা কাকে বলে । কিন্তু এতো কিছু দিকের মধ্যেও কিছু প্রশ্ন আমার মনে আজও জাগে “”যে আমরা কি সত্যি ভারতীয় না শুধু মাত্র সরকারী কাগজে আমরা ভারতীয় লিখি মানসিক ভাবে নয় “”! প্রশ্ন জাগে যখন দেখি ১২৫ কোটি জনগনের মধ্যে প্রচুর ভাগ – কেউ হিন্দু , কেউ শিখ , কেউ বৌধ বা কেউ মুসলিম রুপে নিজেদের হয়ে কথা বলে বা তাদের জন্য আলাদা ভাবে রাজনৈতিক প্রচার বা আরও অনেক কিছু যা এখানে বলতে চাই না যদিও পাসপোর্ট থেকে আধার সবজায়গায় আমরা ভারতীয় বলে (সরকারী ভাবে) মানসিক ভাবে এখনও হয়নি। এছাড়াও কিছু রাজনৈতিক দল নিজেদের স্বার্থে আঞ্চলিক ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে বা সর্বভারতীয় ভাবে দাবী করে যদিও কারুর কারুর রাজনীতির প্রধান বিষয় ধর্ম বা ভাষা বা SC/ST/OBC যা ভারতের সংস্কৃতির ও ইতিহাসের পরিপন্থী ও দেশ বিরোধী হাওয়ার তৈরি করা কারন ৪২ তম সংবিধান সংশোধনে ভারতবর্ষ একটি ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ।

আমরা একমাত্র নিজের ভারতীয় বলি যখন পাকিস্তান এর সাথে খেলা বা আমাদের কোন বীর যোদ্ধা বিরগতি প্রাপ্ত হলে আর শুধু মাত্র মানচিত্রে যদিও এই ভারতমাতার স্বাধীনতার লড়াইয়ে ব্রিটিশ মুক্ত ভারত গড়ার জন্য বালুচিস্তান থেকে নাগাল্যান্দ , কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী একত্র লড়াই করেছিলেন যেমন রাস বিহারী বোস , চন্দ্র শেখর আজাদ, আস্ফাক উল্লাহ খান , সূর্য সেন , মৌলবি বরখতুল্লাহ, ভাগত সিং , রাজগুরু সুখদেব’র নেত্রিতে । নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসের নেতৃতে আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করে শতাব্দীর সবথেকে কঠিন যুদ্ধের কথা উল্লেখ না করলে এই লেখা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে , যা ব্রিটিশদের ভারত ছাড়তে বাধ্য করেছিলো । আমরা জানি জালিওয়াল হত্যাকাণ্ডের জন্য কবি গুরু রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর “Knighthood” উপাধি পরিত্যাগ করেন , বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় , সুব্রামানিয়া ভারতী আরও অনেকের সবার নাম নিতে শুরু করলে নাম শেষ হবে না , সবার লক্ষ্য ছিল এক অখণ্ড ভারত গঠন আর আমরা আছি এক খণ্ডিত ভারতবর্ষে যেখানে মানুষ উপরুক্ত ক্ষেত্র ছাড়া নিজেকে ভারতীয় ভাবতে মানসিক ভাবে তৈরি হয়নি । এছাড়াও আপনারা আপনাদের পারিপার্শ্বিকে দেখতে পাবেন সংবিধানের ১৪ থেকে ১৬ নম্বর ধারা প্রতিনিয়ত লঙ্ঘিত হচ্ছে । পাঠকদের নিজেদের অভিজ্ঞতা আছে এই সংক্রান্ত – যেমন “”VIP Culture”” বা “”Political Portfolio”” থাকলে আপনার অগ্রাধিকার বেশী , ভোটের জন্য ধর্ম নিয়ে খেলা যা আমাদের সংস্কৃতি ও ইতিহাসের বিরোধী ও সকল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমানের সমান । ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে আমরা আদর্শ উদাহরণ পেতে পারি INA or Azad Hind Army’র ইতিহাস দেখলে যেখানে নিজেকে ধর্মের বা ভাষার ভিত্তিতে না ভারতীয় হিসেবে পরিচয় দিতে হতো আর এটাই আদর্শ নেতার নেতৃত্বর পরিচয়। পাঠকদের কাছে আমার প্রশ্ন আপনাদের ভারত সরকারের কাছে প্রশ্ন করা উচিৎ - যেকোনো সরকারী পরিচয় পত্র বা ফর্ম থেকে ধর্ম , SC/ST/OBC লেখার বা পছন্দের কোন সুযোগ না দেওয়া হয় , সেখানে শুধুমাত্র একটাই column থাকবে – হ্যা আমরা শুধু মাত্র ‘””ভারতীয় “”’ যা বলুন গর্বের সাথে । জয় হিন্দ। জন্টি বন্দ্যোপাধ্যায়, সম্পাদক - কে.এম.ডি.এ. - কর্মচারী সংঘ।

CONVERSATION

0 $type={blogger}:

Post a Comment